বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
কাজী মাহমুদুল হক সুজন, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে ফিরে : একটি সেতুর অভাবে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। ওই এলাকায় শাখা বরাক নদীর ওপর একটি সেতু না থাকায় এ দুভোর্গের শিকার হতে হচ্ছে জনসাধারণকে। বর্ষায় নৌকা এবং হেমন্তে বাঁশের সাঁকো নিয়েই যেন তাদের জীবন আষ্টেপৃষ্টে বাঁধা। নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার করতে গিয়ে পথচারীরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার একটি অবহেলিত জনপদের নাম করগাঁও ইউনিয়নের ছোট শাখোয়া এলাকা। গ্রামের মাঝখানে রয়েছে একটি প্রাইমারী স্কুল, একটি মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়ীসহ ৮ টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার লোকের বসবাস। মাঝখানে শাখা বরাক নদী থাকায় দু‘পাড়ের মানুষের যাতায়াতে দেখা দিয়েছে চরম দূর্ভোগ।
এদিকে নদীর ওপারে রয়েছে স্থানীয় টুকের বাজার, সন্নিকটে ইউপি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউপি অফিস এবং আঞ্জব আলী উচ্চ বিদ্যালয়।স্তানীয় কলেজ ছাত্র সৈয়দ ইয়াসিন তানভির ও জুবায়ের আহমেদ তালুকদার জানান, প্রতিদিন শত শত স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী নদী পার হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।
এছাড়া ও স্থানীয় নারী-পুরুষ চিকিৎসা, ইউনিয়ন পরিষদে জরুরী কাজর্কমসহ ব্যবসা, বানিজ্য ও হাটবাজার করতে স্থানীয় বাজার, এমনকি নবীগঞ্জ সদরে যেতে হয়। তার মধ্যে যুগ যুগ ধরে ওই এলাকার ছাত্র-ছাত্রী, চাকুরীজীবি, নানা শ্রেণী-পেশার অগণতি মানুষ নিত্য প্রয়োজনে নদী পারাপার করতে হয় জীবনের ঝুকি নিয়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিশাল এই জনগোষ্ঠির জন্য ওই নদীর উপরে নেই কোন সেতু। তাদের জীবন যেন র্বষায় নৌকা এবং হেমেন্তে বাঁশের সাঁকো নিয়েই আষ্টেপৃষ্টে বাধা। একটি সেতুর অভাবে অবহেলিত এই জনপদের মানুষের দুঃখের শেষ নেই। তাদের দুঃখ, দুর্দশা দেখে মনে হয় তারা স্বাধীন বাংলাদেশের বাহিরে কোন দ্বীপে বসবাস করে আসছেন। কোন মানুষ মারা গেলে তাকে কবর স্থানে নিয়ে দাফন করতে গেলেও পরতে হয় নানান সমস্যায়।
দীর্ঘদিন যাবৎ এ অঞ্চলের মানুষ স্থানীয় ইউপি পরিষদ সংলগ্ন স্থানে সেতু নির্মাণের জন্য দাবী জানিয়ে আসলেও শুধু আশার বাণীই শুনেছেন। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কোন কাজ হচ্ছেনা। তাই স্থানীয়দের দাবি জনদুর্ভোগ লাঘবে অচিরেই এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা জরুরী বলে মনে করে এলাকাবাসী।